সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয়
কাঁচা হলুদ ত্বকের জন্য খুব উপকারী। বয়স্করা বলেন কাঁচা হলুদ মাখলে নাকি ত্বক
ফর্সা হয়। কিন্তু সত্যিই কি কাঁচা হলুদ ত্বক ফর্সা করে।
রূপচর্চায় কাঁচা হলুদের ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। ব্রণ
ফুসকুড়ি সরাতে এবং দাগ কমাতে কিংবা ত্বক উজ্জ্বল করতে কাঁচা হলুদ বেশ উপকারী।
বয়স্করা বলেন কাঁচা হলুদ মাখলে নাকি ত্বক ফর্সা হয়। এখনো সেই ধারা অব্যাহত।
সত্যিই কি কাঁচা হলুদ ত্বক ফর্সা করে তা আপনি এই পোস্টে বিস্তারিত জানতে
পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ সকালে কিভাবে হলুদ মেশানো পানি পান করবেন
সকালে কিভাবে হলুদ মেশানো পানি পান করবেন
হলুদ এক ইঞ্চি মাত্রায় কেটে ছোট ছোট টুকরো করে নিবেন। এক গ্লাস পানি ৭/৮
টি পুদিনা পাতা, এক চা চামচ লেবুর রস ও সামান্য বিট লবণ নিন। পরোক্ষভাবে খেলে
ত্বক ও চুলের সুস্থতার জন্য অনেক উপকারিতা পাবেন। তার মানে এই নয় যে হলুদ
মেশানো পানি পান করলে কারো গায়ের রং বদলে যাবে কিংবা চুল গজাবে।
আরো পড়ুনঃ কি খেলে মোটা হয়
রোজ সকালে নাস্তার আধাঘন্টা পর পানীয়টি খেয়ে নিন। আপনার ত্বক এবং চুলের
সুস্থতার পাশাপাশি শরীরের সার্বিক সুস্থতাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে এই পানীয়টি।
এমনটাই জানালেন হারমনি ইস্পার আয়ুর্বেদিক রোগ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা?
হলুদ বাটা নিন এক টেবিল চামচ কিংবা এক ইঞ্চি করে ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ড করা
হলুদ খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। আপনি চাইলে এক চা চামচ মধুও যোগ করতে পারেন।
আপনি চাইলে রাতে ঘুমানোর আগেও বানিয়ে খেতে পারেন। দুধ হলুদ খেলে ঘুম ভালো হয়।
রক্ত পরিষ্কার রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
দিনে কি পরিমান খেলে উপকারিতা পাবেন?
রোজ ২৫০ মিলিগ্রাম হলুদ যথেষ্ট। সকাল ও রাতে দুই বেলায় ২৫০ মিলিগ্রাম করে হলুদ
খাওয়া যেতে পারে। সকালে খালি পেটে হলুদ খাওয়ার পর ৩০ মিনিট কিছু না খাওয়াই
উচিত। রাতে ঘুমানোর আগেও হলুদ দুধ খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন ২৫০
মিলিগ্রামের থেকে বেশি পরিমাণে হলুদ খাবেন না যেন তাতে ক্ষতি হতে পারে।
এছাড়াও আকৃতির সৌন্দর্যের জন্য জীবনধারা হতে হবে স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিকর
খাবার দাবার পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ ঠিকঠাক ঘুম আর মানসিক শান্তি যেকোনো একটি
ব্যাঘাত ঘটলেই নষ্ট হতে পারে সৌন্দর্য। এসবের বাইরে নিয়মিত খানিকটা যত্নেরও
অবশ্যই প্রয়োজন হয়।
গ্যাস অম্বল থেকে মুক্তি পাবেন
হলুদ গ্যাস অম্বল থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ মস্তিষ্কের
ক্ষমতা ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে
ডিমেনশিয়া সহ মস্তিষ্কের বেশ কিছু সমস্যা কয়েক হাত দূরে চলে যায়। এছাড়াও
মস্তিষ্কে যে সমস্যাগুলি দেখা যায় তা দূরে সরিয়ে রেখে ব্রেনকে আরো সজাগ করে
তোলে কাঁচা হলুদ।
বয়সজনিত নানা রোগের সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে
অর্থারাইটিসের সমস্যা থাকলে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। শুধু তাই নয় খালি
পেটে নিয়মিত হলুদ খেলে অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমায়।
আরো পড়ুনঃ কি খেলে শরির ভালো থাকে
সঠিক উপায়ে কাঁচা হলুদের ব্যবহার
কাঁচা হলুদ কখনই সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করবেন না। অ্যালোভেরা জেল দুধ বা টক
দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবে। ত্বকে দীর্ঘ
সময় ধরে হলুদ লাগিয়ে রাখলে কিন্তু ত্বকে হলদে ছোপ তৈরি হতে পারে। সপ্তাহে ১
থেকে দুই ২ বার হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। রোজ ব্যবহার করলে ত্বক
শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
হলুদ ব্যবহারে সাবধানতা
হলুদের প্যাক ত্বকে মাখার পরপরই সরাসরি রোধে যাবেন না। কাঁচা হলুদ
ব্যবহারের ফলে ত্বক হলুদ রং ধরে গেলে তা সহজে উঠানো যায় না। অতিরিক্ত ব্যবহারে
ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারে তাই পরিমিত পরিমাণে হলুদ ব্যবহার করবেন।


ট্রিপজয়'প্যালসের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url